ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্কুল ছাত্রী অপহৃত

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় উম্মে জামিলা (১৩) নামের এক স্কুল পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অপহৃত হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে অপহৃতার সন্ধান নেই। তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃত উম্মে জামিলা ওই এলাকার আবছার উদ্দিনের মেয়ে ও পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
এ ব্যাপারে অপহৃতা ছাত্রী উম্মে জামিলার পিতা আবছার উদ্দিন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় ১ আগষ্ট অভিযোগ প্রেরণ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর সকালে উম্মে জামিলা নামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। ওই ঘটনায় উম্মে জামিলার পিতা পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী এলাকার গোলাম কাদেরের পুত্র আবছার উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনালে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন। যার সিপি মামলা নং ৩০৪/২১। বিচারিক আদালত এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারকে এর তদন্তভার ন্যস্ত করেন। মামলায় বাইম্যাখালীর আসকর আলীর পুত্র জালাল উদ্দিনসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়। পিবিআই তদন্তীয় প্রতিবেদনে ৫ জনকে মামলা থেকে দায়মুক্তি দিয়ে এর প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। মামলার মুল আসামী জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। ৫ জন এজাহারনামীয় আসামী বাদ পড়ায় পিবিআইয়ের তদন্তীয় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আদালতে নারাজীর দরখাস্ত দেন। এদিকে মেয়েটি আবারো অপহৃত হয়েছেন মর্মে থানায় দ্বিতীয় দফায় লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। ১ম ঘটনা নিয়েও পেকুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ রয়েছে। যার জিডি নং ৯২৩/২১।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর পেকুয়া থানায় জিডি রেকর্ড হয়েছে। সেই সময়ও মেয়েটি নিখোঁজ ছিল বলে জিডিতে উল্লেখ রয়েছে। চলতি বছরের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রী অপহৃত হয়েছে বলে থানায় প্রেরিত অভিযোগে বলা হয়েছে।
মেয়ের বাবা আবছার উদ্দিন জানান, আমার মেয়ে পর পর দুইবার অপহৃত হয়েছে। ১ম ঘটনা হয়েছিল ২১ নভেম্বর ২০২১ সালে। আসকর আলীর ছেলে জালাল উদ্দিনসহ দুবৃর্ত্তরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে। আমি মামলা করেছি। পিবিআই ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি নারাজী দিয়েছি। এখন দ্বিতীয় দফায় ৩১ জুলাই রাতে আমার মেয়েকে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে আমার মেয়ে অপহরণ অবস্থায় আছে। আমি থানায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আবারো অভিযোগ দিয়েছি।
মেয়ের মা সেলিনা আক্তার জানান, আমার মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক। তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়েছে।
দাদী খালেদা বেগম জানান, আমার নাতি এখনো শিশু। তাকে কেন এভাবে অপহরণ করা হচ্ছে।
ফুফি রোকেয়া বেগম জানান, আমরা মেয়েটিকে নিয়ে শংকিত রয়েছি। চাচা নুরুল আমিন জানান, অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। এখনো মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছে না।
পেকুয়া সরকারী মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার জহির উদ্দিন জানান, উম্মে জামিলা নামক মেয়েটি আমার প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। তার পিতা আমার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

পাঠকের মতামত: